ইমরুল শাহেদ: ঢাকার চলচ্চিত্রের সুন্দরী ও আলোচিত নায়িকা পরী। তিনি অভিনেতা রাজের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন। অভিনেতা শরীফুল রাজের সঙ্গে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর ১০১ টাকা দেনমোহরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ তিনি। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট এই দম্পতির পুত্রসন্তানের জন্ম হয় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে। 

বিয়ের পর থেকেই পরীমনির সংসার জীবন নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। যারা পরীমনি ও রাজকে যারা কাছ থেকে জানেন, তারা বলেন; এই সংসার ভাঙবে না। যারা শুধু পরীমনিকে জানেন, তারা বলেছেন পরীর মধ্যে একটা অস্থিরতা আছে। একাধিক বিয়ে করা এই মেয়ে শেষ পর্যন্ত কী করে সেটা কে বলতে পারে। রাজ এবং পরীও গণমাধ্যমে নানা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। নিজেদের আজীবনের সঙ্গী বলেও উল্লেখ করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গুজবই সত্যি হলো।  

পরী নিজের সংসারের টানাপড়নের কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন গত ৯ নভেম্বর দিবাগত রাত সোয়া ২টায় একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে। সে স্ট্যাটাসে তিনি সংসারে অশান্তির জন্য আরেক নায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মিমকে দায়ী করেন। ‘পরাণ’ ছবির মুক্তির একটি অনুষ্ঠানে মিমের হাত ধরে আছেন রাজ - এমন একটি ফেসবুকে প্রকাশ পায়। শুরু সেখান থেকেই। এ যাত্রা তাদের দাম্পত্য ঝামেলা মিটে যায়। সম্প্রতি ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাতে আবারও একটি স্ট্যাটাস দেন পরীমনি। সে স্ট্যাটাসে তাদের বিচ্ছেদের ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে ওঠে। স্ট্যাটাসে পরী লিখেছেন, ‘আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে মুক্ত করলাম। জীবনে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার তুলনায় জরুরি আর কিছু নেই।’

শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজের বাসা থেকে ছেলে রাজ্যকে নিয়ে বের হয়ে আসেন পরী। সন্তানকে নিয়ে বর্তমানে তিনি তার নিজের বাসাতেই আছেন।

রাজের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে পরীমনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি। তবে সমস্যা কাটিয়ে আর থাকতে পারলাম না। রাজের আচার-আচরণে একসঙ্গে থাকার পরিস্থিতি আর নেই। তাই বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেলাম।’ 

জানা গেছে, খুব শিগগিরই আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠাবেন পরী। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব